ঢাকা,শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

৫ শতাধিক নারীকে পাচার করেছে এই চক্র

ddddd-300x169সি এন ডেস্ক:

আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব)। এসময় ৪ জন কিশোরী ভিকটিমকেও উদ্ধার করা হয়। মানবপাচারকারী এ চক্রটি ইতোমধ্যেই ৫ শতাধিক কিশোরী ও নারীকে দেশের বাইরে পাচার করেছে।

সোমবার বিকেলে র‌্যাব সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।

তিনি বলেন, ‘এ চক্রটি ৫ শতাধিক কিশোরী-নারীদের বিদেশে পাচার করেছে। এরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে গরিব ও অস্বচ্ছল পরিবারের কিশোরী-নারীদের বিদেশে লোভনীয় চাকরি দেয়া অথবা বিয়ের নাম করে পাচার ও জোর করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। কখনো কখনো কোমলমতি কিশোরী-নারীদের কিডনি পর্যন্ত বিক্রি করে দেয়।’

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১২টি পাসপোর্ট, ১১টি ভিসা, ৫১টি বিমানের জাল টিকিট এবং ৫৩টি বিদেশে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র, একটি ভিডিও ক্যামেরা ও ১৪টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, ‘২৯ সেপ্টেম্বর রওশন আরা নামে এক নারী র‌্যাব-১২ এর টাঙ্গাইল ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগে জানায় যে, তার মেয়ে সাবিনাকে কে বা কারা গত ১৭ আগস্ট অপহরণ করেছে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর ভারত থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ফোন করে তার মেয়ে ভারতে আছে জানিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। র‌্যাব প্রযুক্তির সহায়তায় অনুসন্ধান শুরু করে ইন্টারপোলের সাথে প্রয়োজনীয় যোগাযোগসহ ভিকটিমকে উদ্ধারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ফাঁদে ফেলে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরের বড়বাড়ী এলাকা থেকে মো. রোকন (২১) ও আয়েশা আক্তার আশা (২৫) নামে দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে সোহাগী (১৩) নামে এক ভিকটিমকেও উদ্ধার করা হয়।’

মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ীর ধলবাড়ী এলাকা থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি আমির (২২) ও হাসান খন্দকার (৩০) নামে পাচারকারী চক্রের আরও দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা। এ সময় তাহের নামে তাদের এক সহযোগী পালিয়ে যায়। আমির ও হাসানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একইদিন যাত্রাবাড়ীর ধলবাড়ী বউ বাজার এলাকার একটি ৪ তলা বাড়ির ৩য় তলা থেকে শিরীন নামে এক ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। শিরীনকে চক্রটি দুই বছর ধরে আটকে রেখে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিল।’

মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, ‘পরবর্তীতে পাচারকারীর ছদ্মবেশে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে ভিকটিম সোহাগী ও শিরীনকে হস্তান্তরের জন্য ফাঁদ পেতে যশোরের বেনাপোল সীমান্তের সূর্যখালী এলাকা থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হাবিব (৩২), মিল্টন (২২) ও সামাদ (৩২) নামে চক্রটির অপর তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানী পল্টনের ফকিরাপুল পানির ট্যাংকি এলাকা থেকে চক্রের সক্রিয় সদস্য মো. মামুন মির্জাকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় সালমান নামে তার এক সহযোগী পালিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে মামুন জানায়, শারমিন নামে এক কিশোরী ভিকটিমকে ১৫ দিন এবং রিয়া নামে অন্য কিশোরী ভিকটিমকে ৩ মাস ধরে তারা আটকে রেখেছে। পরবর্তী সময়ে শারমিন ও রিয়াকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়।’

পাঠকের মতামত: